জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির
অযৌক্তিকভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহন ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন বাস, ট্রাকসহ পণ্যবাহী যানবাহনের মালিকেরা।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, 'বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটে লকডাউনসহ নানা কারণে দেশের ৭৭ ভাগ মানুষের আয় কমেছে। ফলে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এহেন সংকটাপন্ন দেশের মানুষজন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা, ঠিক তখনই জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন দরিদ্র হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, তখন সরকার মানুষকে মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য না করে উল্টো একটা নতুন সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় সরকার গত ছয় বছর উচ্চমূল্যে জ্বালানি বিক্রি করে একচেটিয়া মুনাফা করেছে।
সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, 'যে প্রক্রিয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে, তা অবৈধ।'
তিনি বলেন, 'জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং জ্বালানির দাম বাড়ানোর কোনো ক্ষমতাও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নেই। এটা করার ক্ষমতা বিইআরসির। সেখানে শুনানির পরেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিয়ম। তাদের নেতা-কর্মীদের একটা বিরাট অংশের আয় বৃদ্ধিকে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি মনে করে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম. মনিরুল হক ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
এদিকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। ব্যাহত হয়েছে সরবরাহ চেইন।