তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন ছড়াবে: ক্যাব
ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরির পাশাপাশি নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন ছড়াবে বলে মনে করছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন করেন এ মন্তব্য। তিনি সরকারের কাছে তেলের দাম কমানোরও আহ্বান জানান।
নাজের হোসাইন বলেন, "নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি; বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চাল, চিনি, সবজির দামের ঊর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় নাভিশ্বাস ওঠেছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে তেলের মূল্য বৃদ্ধি। গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির মূল্যও দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডলারের দামও।
''কয়েকদিন আগে সীমিত আয়ের মানুষের ভরসাস্থল টিসিবির পণ্যের দামও বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় কেরোসিন এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ভোক্তা পর্যায়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।"
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর থেকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ট্রাক-বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে তেলের বাড়ায় গণপরিবহনের ভাড়া পুনরায় নির্ধারণের দাবিতে বিআরটিএকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ দেশের সাধারণ ভোক্তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করতে সক্ষম হয়নি বলে অভিযোগ করেন এসএম নাজের হোসাইন । তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে তার প্রতিফলন ঘটেনি। এ অবস্থায় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের গণশুনানি ব্যতিরেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা হতাশাজনক।''
বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে আজ থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে।
তবে অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রোলের দাম আগের মতোই লিটার প্রতি ৮৬ টাকাই রাখা হয়েছে।