দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ৫
দেশে করোনা ভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে আরও চারজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ভাইরাসে মোট পাঁচজনের মৃত্যু হলো।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। সব মিলে ৩৯ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পেয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা। অনলাইনে এ সংক্রান্ত ব্রিফিং করা হয়েছে।
ডা. মীরজাদি জানান, গত ১৮ মার্চ ৬৫ বছরের ওই পুরুষ শনাক্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি এলাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২১ মার্চ আইইডিসিআরের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন। তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল।
তিনি বলেন, সংক্রমিতদের মধ্যে আরও দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার কেন্দ্র আরও বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালসহ ঢাকার বাইরের কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আমরা দুইটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করছিলাম। এখন পর্যন্ত সেখানে সংক্রমিত হওয়ার উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি। সে কারণে সীমিতভাবে সামাজিক সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি।
আইইডিসিআরের যোগাযোগের জন্য ০১৯৪৪৩৩৩২২২ অথবা ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে হান্টিং নম্বরের মাধ্যমে অন্যান্য নম্বরে টেলিফোনটি চলে যাবে। এছাড়া ১৬২৬৩ নম্বরেও যোগাযোগ করা যাবে।
এদিকে, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় প্রাপ্ত তথ্যসূত্রের বরাতে বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ৭ হাজার ৪৮৫ জন। প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত করা হয় ১৮ হাজার ২২৭ জনের। তবে হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকার করে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
সরকারি-বেসরকারি সূত্রের বরাতে সর্বশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ডোমিটার ডটকম। তাদের হিসাবে, মোট আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ২২ হাজার ৮২৯ জন। প্রাণহানি সংখ্যা ১৮ হাজার ৯০৭ বা ১৫ শতাংশ।
আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন এক লাখ ৯ হাজার ১০২ জন। এখনও ২ লাখ ৯৪ হাজার ৮২০ জন রোগী সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মাঝে আশঙ্কাজনক অবস্থা ৪ শতাংশ বা ১৩ হাজার ৯৫ জনের।