ভারতের কেরালায় আবারও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলো
করোনাভাইরাইসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। পরবর্তীতে করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের পর বিশ্বজুড়ে রোগটির সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে আবারও দেখা যাচ্ছে করোনা আতঙ্ক। এমনকি করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট এক্সবিবি.১.৫ (ক্র্যাকেন)-এর 'অতি সংক্রামক' বৈশিষ্ট্যের জন্য আতঙ্ক বেড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। সম্প্রতি ভারতের কেরালা রাজ্য সরকার জনসমক্ষে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে। খবর দ্যা হিন্দু'র।
গতকাল (সোমবার) প্রকাশিত একটি নির্দেশিকায় অফিস, সিনেমা হল বা যেকোনো জমায়েতে উপস্থিত সবাইকেই মাস্ক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, রাজ্যের বাসিন্দাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যও বলা হয়েছে। আপাতত আগামী ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশনা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে কেরালা স্বাস্থ্য দপ্তর। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী এ নির্দেশনার মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।
যদিও ভারতে করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিম্নমুখী। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও ৯৮.৮০ শতাংশ। তবুও যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ২৬টি দেশে 'ক্র্যাকেন'-এর সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আগাম সতর্কতা হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে কেরালার রাজ্য সরকার। পাশাপাশি আগের মতো আবারও দোকান, থিয়েটার হল সহ বিভিন্ন স্থানে স্যানিটাইজার ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।
'ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ জেনোমিকস কনসোর্টিয়াম (ইনসাকগ) এর মতে, ভারতের দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন পর্যন্ত মোট ২৬ জন 'ক্র্যাকেন' এ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও গতকাল সকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে ১১৪ জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজরন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। উক্ত সাক্ষাতে আসন্ন কোভিড ঝুঁকি মোকাবিলায় দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছিল। করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মত ভারতেও ব্যাপকভাবে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই বর্তমানে কেরালা সরকারের আগাম সতর্কতাকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন।