দ্রুততম সময়ে ধর্ষণ মামলার রায়, আসামির যাবজ্জীবন
দেশে ফৌজদারি মামলার ইতিহাসে দ্রুততম বিচারে শিশু ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বাগেরহাটের একটি আদালত।
সোমবার বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগ গঠনের সাত কার্যদিবসে স্পর্শকাতর একটি ফৌজদারি মামলায় এত কম সময়ে বিচার কাজ শেষ করার নজির বাংলাদেশে এটাই প্রথম।
বাগেরহাটের মোংলায় আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ 'সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত' হওয়ায় আসামি আব্দুল মান্নান সরদারকে (৫০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এই রায় দেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, পিতৃহারা ৭ বছরের এক শিশু মামার কাছে থাকে। ৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পঞ্চাশোর্ধ্ব মান্নান শিশুটিকে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই মেয়েটির মামা বাদী হয়ে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ ওই রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার এসআই বিশ্বজিত মুখার্জ্জী ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরদিন আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় এবং ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ১৪ অক্টোবর চিকিৎসক, বিচারিক হাকিম, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া হয় ১৫ অক্টোবর। এরপর রোববার বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন রাখেন