ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য মা হাতির মৃত্যু, জমির মালিক আটক
কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ খুনিয়াপালংয়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে একটি বন্য মা হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ভোররাতে কোনো একসময় হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে মৃত্যুর কবলে পড়ে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. হুমায়ুন কবির।
দুর্বৃত্তরা মৃত হাতির শরীর থেকে মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা জানান, "ধারণা করা হচ্ছে ভোররাতে রামুর খুনিয়াপালংয়ের ধোয়াপালং এলাকায় ধানক্ষেতে চলে আসে একটি মা হাতি। সেখানে আগে থেকে স্থানীয়দের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়। এরপর কয়েকজন দুর্বৃত্ত শরীর থেকে হাতিটির মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে তা পুঁতে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।"
এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করেন ইউএনও।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ খুনিয়াপালংয়ের জনৈক নজির আহমদের ধান ক্ষেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করা হয়। এতেই হাতিটি নির্মম মৃত্যুর শিকার হয়। হাতির মৃত দেহ লুকাতে পা, শুঁড় কেটে খণ্ড বিখণ্ড করা হয়। এসব টুকরো অংশ উদ্ধার করে বনবিভাগ। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রামু রিগান চাকমা, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদসহ বন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ রামুর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ময়নাতদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করেন।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ জমির মালিক নজির আহমেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। বন-বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।