নারী-পুরুষের সমতায় দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে বাংলাদেশ
নারী-পুরুষের সমতার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
মোট ৭৩ দশমিক ৬ পয়েন্ট স্কোর করে বিশ্বের ১৫৩ দেশের মধ্যে ৫০তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বৈশ্বিক লিঙ্গবৈষম্য প্রতিবেদন-২০২০-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ডব্লিউইএফের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগ, শিক্ষায় অংশগ্রহণ, স্বাস্থ্য ও আয়ু এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন—এই চার মূল সূচকে এই তালিকা প্রকাশ করে ডব্লিউইএফ।
তবে প্রতিটি সূচকেই গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়েছে। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০, যা আগের বছর ছিল ৪৮। তবে বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশ ১০০-এর মধ্যে নেই।
নারী-পুরুষের সমতার শীর্ষ পাঁচে রয়েছে আইসল্যান্ড, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও নিকারাগুয়া। আর সবার শেষে ইয়েমেন।
নারী-পুরুষের সমতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পর রয়েছে নেপাল, অবস্থান ১০১তম। শ্রীলঙ্কা ১০২, ভারত ১১২, মালদ্বীপ ১২৩, ভুটান ১৩১। সবার পরে পাকিস্তান, অবস্থান ১৫১।
এই নিয়ে টানা পাঁচবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থান দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি ১৪টি উপসূচকের মধ্যে চারটি উপসূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের ওপরে স্থান পেয়েছে। ক্ষেত্রগুলো হলো ছেলে ও মেয়েশিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি, মাধ্যমিকে ছেলে ও মেয়েদের সমতা, জন্মের সময় ছেলে ও মেয়েশিশুর সংখ্যাগত সমতা এবং সরকারপ্রধান হিসেবে কত সময় ধরে একজন নারী ক্ষমতায় রয়েছেন। ২০১৮ সালেও এই উপসূচকগুলোতে বাংলাদেশ একই অবস্থানে ছিল।
তবে নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগ- এই সূচকে মাত্র ০.৪৩৮ পয়েন্ট পেয়ে ১৪১ অবস্থানে চলে গেছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। দীর্ঘ সময় ধরে (গত ৫০ বছরে) সরকারপ্রধান হিসেবে নারী থাকার রেকর্ডও বাংলাদেশের।