নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলার তিন মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা ৩টি মামলা সুষ্ঠু ও নিবিড় তদন্তের স্বার্থে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) কর্তৃপক্ষের একটি ও পুলিশের বাদি হয়ে করা দু'টি মামলা রয়েছে। এদিকে জেলায় নতুন করে আরও ৩ জনসহ মোট গ্রেপ্তার হয়েছে ২০৪ জন।
বুধবার সকালে মামলা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, হামলার দিন ব্যাংক রোডে দু'টি মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই জামাল হোসেন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ২৯, কলেজ রোডে তিনটি মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৩১ এবং যতন সাহা ও প্রান্ত দাস নিহতের ঘটনায় ইসকনের পক্ষ থেকে রত্নেশ্বর দেবনাথ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং ২৭। এ তিনটি মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৬ জন আসামি নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তিনজনকে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লায় মূর্তির কোলে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর নোয়াখালীর চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিত্যানন্দ বিগ্রহ (ইসকন) মন্দির, শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর চন্দ্র আশ্রম মন্দির ও শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জেলার বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬টি মামলা হয়েছে। যাতে ৪১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও সাড়ে ৭ হাজার আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০৪ জন।