নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় পুলিশের মামলা, সব আসামী অজ্ঞাতনামা
ধর্মীয় অবমাননামূলক মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া থানার দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে লোহাগড়া থানার এসআই মাকরুফ রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়। তিনি জানান, মামলায় ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
প্রবীর কুমার রায় বলেন, 'বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর এবং দুটি মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে। বাকি আসামিদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।'
এ নিয়ে এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ১৬ জুলাই রাতে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দীন কচি বাদী হয়ে আকাশ সাহার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে আকাশ সাহা নামের এক কলেজছাত্রের ফেসবুক আইডি থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে।
এর জেরে শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে হামলা হয় দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায়।
হামলাকারীরা গোবিন্দ সাহা ও দিলীপ সাহার বাড়ি, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা অশোক সাহার দোকানসহ ১০টির বেশি বাড়ি-দোকান ভাঙচুর করে। গোবিন্দ সাহার বাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়।
তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি সাহাপাড়া মন্দিরের প্রতিমা, চেয়ার ও সাউন্ড বক্স ভাঙচুর করে। ফলে ভীতসন্ত্রস্ত হিন্দু পরিবারের অধিকাংশ সদস্য আশপাশের গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন।
তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে গ্রামের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আজগর আলী বলেন, 'গ্রামে এখন আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ইউনিটের সদস্যরা মোতায়েন আছে।'
