নোয়াখালীতে ৭দিনের লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শনিবার ভোর ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হলেও তা চলছে ঢিলেঢালাভাবে। তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে।
শনিবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার সকালে জেলা শহর মাইজদী থেকে দূরপাল্লার কোন যানবাহন না ছাড়লেও অভ্যন্তরীণ সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে। শর্তসাপেক্ষে দুই জন যাত্রী নিয়ে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলার কথা থাকলেও বিধিনিষেধ মানছে কেউই। দেখা গেছে, সিএনজি ও অটোরিকশাগুলোতে ৪-৫ জন করে যাত্রী চলাচল করছে। তবে শহরের দোকানপাট ও শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। মাস্ক ব্যবহার কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না।
লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন চেক পোস্টে আইন অমান্য ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও যাত্রীকে জরিমানা করতেও দেখা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, ঈদ পরবর্তী সময়ে জেলায় করোনা সংক্রমণ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলায়। তাই জেলা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে পৌরসভা ও সদরের ৬টি ইউনিয়ন এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন ৫ জুন ভোর ৬টা থেকে ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
তিনি আরও জানান, লকডাউন কার্যকর করতে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬টি মোবাইল টিম ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৪টি টিম মাঠে কাজ করছে।