পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কক্সবাজারে আটকা অর্ধলাখ পর্যটক
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে আজ শুক্রবার কক্সবাজার থেকে ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করা হাজার হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন শহরে।
কক্সবাজারের স্থানীয় হোটেল সংশ্লিষ্টরা আটকা পড়া পর্যটকের সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
তবে অনেক পর্যটক অতিরিক্ত ভাড়া খরচ করে উড়োজাহাজ বা অন্যান্য উপায়ে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। আবার পর্যটকদের একাংশ সিএনজি, ট্যাক্সির মতো ছোট যানবাহনগুলোতে করে কক্সবাজার ছাড়ার চেষ্টা চালিয়েছেন সারাদিন। তবে এসব পরিবহনের ভাড়াও সাধারণ সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় কক্সবাজার ছাড়তে পারেনি অধিকাংশ পর্যটকই।
আটকা পড়া পর্যটকদের কারণে এদিনে সৈকতে জনসমাগমও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল।
ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, "হঠাৎ করে দূরপাল্লার বাস বন্ধ হয়ে যাওয়াতে পর্যটকরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।"
তিনি আরও বলেন, "বাড়ি ফেরার আশায় আনুমানিক ৩০ থেকে ৫০ হাজার পর্যটক হোটেল ছেড়ে দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে যদি বাস খুলে দেওয়া না হয়, তাহলে এসব পর্যটকরা চরম বেকায়দায় পড়তে পারেন।"
বাস বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণ পর্যটক কক্সবাজারে আসতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, "নিয়মানুসারে শুক্রবার-শনিবার কক্সবাজারে পর্যটক আগমন বেশি থাকে। তাই শুক্রবারে ফেরার কথা থাকা ২০ হাজারের অধিক পর্যটক আটকে পড়ার বিষয়টি আমাদের অগোচরে রয়েছে।"