প্রতারণার অভিযোগে ধামাকার ৩ শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ধামাকা শপিং-এর সিওও (চিফ অপারেটিং অফিসার) সিরাজুল ইসলাম রানাসহ তিনজনকে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধামাকা শপিংয়ের সিওও (চিফ অপারেটিং অফিসার) সিরাজুল ইসলাম রানা, ক্যাটাগরি হেড (মোবাইল ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল) ইমতিয়াজ হাসান সবুজ এবং ক্যাটাগরি হেড (ইলেক্ট্রনিক্স) ইব্রাহীম স্বপন।
গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই ২০২০ সাল থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত রয়েছেন।
র্যাবের সদস্যরা আজ সকালে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিরাজুল ও ইমতিয়াজকে গ্রেপ্তার করে; অন্যদিকে ইব্রাহীম স্বপনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) আ ন ম ইমরান খান গণমাধ্যমকে তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর 'ধামাকা শপিং ডটকমের' চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের টঙ্গী থানায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে টঙ্গীর উত্তর আউচপাড়া এলাকার শামিম খান নামের এক ব্যবসায়ী মামলা করেন।
এছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর ধামাকা শপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএমডি জসিম উদ্দিন চিশতিসহ তার স্ত্রী-দুই সন্তান ও এক ভাতিজা এবং ধামাকা শপিংয়ের আরেক পরিচালকসহ চারটি প্রতিষ্ঠানের মামলা করে সিআইডি।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, এই টাকার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন ধামাকা শপিংয়ের এমডি ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঠিক কী কারণে সিআইডি দেশে থাকা বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না সে বিষয়ে কেউ কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধামাকা শপিং প্রায় ৫ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন লোভনীয় অফারে পণ্য দেওয়ার নামে ৮০৩.৫১ কোটি টাকা গ্রহণ করে। শুরুতে কিছু গ্রাহককে পণ্য দিলেও পরবর্তীতে আর কাউকেই পণ্য না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে তারা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবসমূহের জমা ও উত্তোলন স্লিপ এবং দেশের বাইরে সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
ধামাকা শপিংয়ের বিষয়ে গত ৩০ জুন থেকে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্সের নামে বিভিন্ন পণ্যের লোভনীয় অফার ও ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ড বিক্রি করে অর্থ পাচারের অনুসন্ধানে নামে সিআইডি।
মামলায় আসামিরা হলেন- ধামাকা শপিংয়ের ও ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএস জসিম উদ্দিন চিশতি, তার স্ত্রী ও ইনভেরিয়েন্ট টেলিকমের পরিচালক সাইদা রোকশানা খানম, তার ছেলে ও ইনভেরিয়েন্ট টেকনোলজিসের চেয়্যারম্যান তাসরিফ রিদয়ান চিশতি, ছেলে ও ইনভেরিয়েন্ট টেকনোলজিসের পরিচালক মাসফিক রিদয়ান চিশতি, ইনভেরিয়েন্ট টেকনোলজিসের এমডি নাজিমুদ্দিন আসিফ এবং ধামাকা শপিং ও ইনভেরিয়েন্ট টেলিকমের পরিচালক সাফওয়ান আহমেদ।
এছাড়াও মামলায় ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড, মাইক্রো ট্রেড, ইনভেরিয়েন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড ও মাইক্রো ট্রেড ফুড অ্যান্ড ব্রেভারেজ লিমিটেডকেও আসামি করা হয়েছে।