বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন।
অমর একুশে বইমেলা-২০২১ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'বই পড়ে মানুষ ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে এবং নিজেদেরকে বিভিন্ন তথ্যে সমৃদ্ধ করতে পারে।'
প্রধানমন্ত্রী বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এবার পিছিয়ে মার্চে শুরু হলো বইমেলা। রাজধানীতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলারে আয়োজন করা হয়েছে।
বই পড়ার অভ্যাস যেন বজায় থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। 'আসুন সবাই মিলে আমরা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি এবং আমাদের আগামী প্রজন্মকেও উৎসাহিত করি,' বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমিকে বইয়ের অনুবাদ কার্যক্রম আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দেশের মানুষ বিশ্বের অন্যান্য জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে এবং অন্যান্য জাতির সামনে নিজস্ব সংস্কৃতিও তুলে ধরা যায়।
তিনি বলেন, 'আমরা অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন জাতির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি।'
শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমিকে বাংলা বই অন্য ভাষায় এবং বিদেশি বই বাংলা ভাষায় অনুবাদ অব্যাহত রাখতে বলেন।
'পৃথিবী এখন বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত হয়েছে। সুতরাং, একে অপরকে জানার সুযোগ রয়েছে। এখানে কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যই করা উচিত নয়; সাংস্কৃতিক অনুশীলন, সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয়ও জানা উচিত। এবং বই আমাদের সেই সুযোগ দেয়,' তিনি বলেন।
এবছর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে। ২০২১ বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য হলো 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী'।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত এবং বাংলা একাডেমি প্রকাশিত 'আমার দেখ নয়া চীন' এর ইংরেজী সংস্করণ 'নিউ চীনা ১৯৫২' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীও বক্তব্য দেন।