বাংলাদেশে ফিরতে চায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ
এক দশকের বেশি সময় পর আবারও বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে চায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
এলক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী সংস্থাটি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে।
বর্তমানে এই রুটে একমাত্র ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। পুনরায় কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
'আমরা তাদের আবেদনকে ইতিবাচক ঘটনা হিসেবেই দেখছি,' বলে জানান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মহিবুল হক।
আকাশপথে যাত্রী পরিবহন নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমানের ইতোমধ্যেই একটি চুক্তি রয়েছে। সেই সূত্রে লন্ডন থেকে বিমানের কার্যক্রমও চলছে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির আওতায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ অনুমতি পাবে, বলে তিনি জানিয়েছেন।
ইতোপূর্বে, ২০০৯ সালে রুট অলাভজনক হওয়ায় ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। ওই সময়েও লন্ডন রুটে বিমানের নিজস্ব ফ্লাইট সচল ছিল।
তবে যাত্রীসংখ্যা বাড়ায় সম্প্রতি লন্ডন রুট বিমানের জন্য লাভজনক হয়ে উঠেছে। যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বসবাস করেন। একারণে মহামারির মধ্যে একমাত্র এই রুটেই আকাশপথে পরিবহন সচল ছিল।
যুক্তরাজ্যের দুইটি গন্তব্য লন্ডন ও ম্যানচেষ্টারে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকেই ম্যানচেষ্টার রুটে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়।
বর্তমানে লন্ডনে বিমানের সাপ্তাহিক দুটি ফ্লাইট আসা-যাওয়া করছে।
যাত্রীদের দীর্ঘদিনের চাহিদার প্রেক্ষিতে এর আগে চলতি বছরের ৪ অক্টোবর লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে বিমান।