বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ ও ডিজিটাল মাস্টার ট্রেইনার নিতে চায় ভুটান
বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ এবং 'বিল্ড ভুটান' কর্মসূচি বাস্তবায়নে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার নিতে চায় ভুটান।
আজ বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে তার বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ভূটান সরকারের এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে ভূটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি।
বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ আমদানি করার বিষয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের ধারাবাহিকতায় ব্যান্ডউইথ নেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন।
গত মার্চে ভূটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে এ প্রস্তাব ব্যক্ত করেছিলেন।
বৈঠকে ব্যান্ডউইথের সুবিধাজনক রেট প্রসঙ্গেও কথা ওঠে। ভুটান-ভারত-বাংলাদেশ যাতে সুবিধাজনক ট্রান্সমিশান রেট পায় সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূটানের সহযোগিতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং ভুটানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
"আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দিতে গৃহীত যুগান্তকারী কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশে ১৭ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের কারখানা থেকে শতকরা ৭০ ভাগ মোবাইল সেটের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। আমরা ৫জি মোবাইল সেট উৎপাদন ও রপ্তানি করছি," মোস্তাফা জব্বার বলেন।
রাষ্ট্রদূত ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে অনন্য এক উচ্চতায় উপনীত করতে তার প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তার মতে, "বাংলাদেশ ভুটানের পরিক্ষিত বন্ধুই শুধু নয়, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার।"
অন্যদিকে মোস্তাফা জব্বার 'বিল্ড ভুটান' কর্মসূচি বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সাবাব বিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।