বাংলাদেশ থেকে রেফ্রিজারেন্টসহ এয়ার কন্ডিশনার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সম্মতি ভারতের
বাংলাদেশের জন্য রেফ্রিজারেন্টসহ এয়ার কন্ডিশনার আমদানির ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে ভারত। এটি বাস্তবায়ন ওয়ালটন ভারতে আবারও এয়ার কন্ডিশনার রপ্তানি করতে পারবে।
অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে গত বছর অক্টোবরে রেফ্রিজারেন্টসহ এয়ার কন্ডিশনার আমদানি নিষিদ্ধ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড। তবে এই নিষেধাজ্ঞা স্প্লিট এয়ারকন্ডিশনারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
সোমবার দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ করে ঢাকা। তাতে সম্মতি পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, রেফ্রিজারেন্টসহ এয়ার কন্ডিশনার আমদানি নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য শিথিল করার অনুরোধ জানিয়ে আমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে চিঠি পাঠাবো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে খুব বেশি এয়ারকন্ডিশনার রপ্তানি হয় না। ভারতে এক লাখ ইউনিট রেফ্রিজারেটর এবং ২০ হাজার ইউনিট রেসিডেন্সিয়াল এয়ার কন্ডিশনার রপ্তানির জন্য হুন্দাই ইলেক্ট্রনিক্স এর সঙ্গে ২০১৯ সালে চুক্তি করেছিল ওয়ালটন। গত বছর মার্চ মাসে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে ওয়ালটন উৎপাদিত এয়ারকন্ডিশনার রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন।
রেফ্রিজারেন্টসহ এয়ারকন্ডিশনারই ভারতে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়। ২০২০ অর্থবছরে ভারত চীন থেকে প্রায় ৪৮ কোটি ডলারের এবং থাইল্যান্ড থেকে ২৪ কোটি ডলার মূল্যের এয়ার কন্ডিশনার আমদানি করে।