বিধি-নিষেধ শিথিল করলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে যেসব বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (৯ জুন) দুপুরে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র প্রফেসর নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
নাজমুল ইসলাম বলেন, "জুনের ৪ তারিখ থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। শনাক্তের হার ১২ শতাংশের বেশি। সীমান্তবর্তী কিছু জেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের পরামর্শে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন করছে। কোনো জায়গায় শিথিলতার পরিচয় দিলে সেটি আমাদের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না,"
"জয়পুরহাটে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের বেশি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯ শতাংশের বেশি, রাজশাহীতে ২৩ শতাংশের বেশি। এই জায়গাগুলোতে করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি রয়েছে। এসব জায়গায় লকডাউন বা বিধি-নিষেধ আরোপ করায় স্থিতাবস্থায় আছে। এটি যদি অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে উর্ধ্বগতি থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি," বলেন তিনি।
নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, "আমরা একাধিক টিকা ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছি। আশা করছি, শিগগির আমরা প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে পারবো। দ্বিতীয় ডোজের টিকার জন্য যারা অপেক্ষমান, তারাও যথা সময়ে টিকা পেয়ে যাবেন।"
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ ঢাকার চার হাসপাতালে দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।
তিনি জানান, যারা এসব হাসপাতালগুলোতে নিবন্ধন করেছেন তারা সেই সুযোগ পাবেন। যারা নিবন্ধন করেছেন কিন্তু টিকা নিতে পারেননি, তাদের এই টিকা দেওয়া হবে।