বিমানবন্দরে পণ্য স্ক্যানিংয়ের জট দ্রুত সমাধানের আশা
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পণ্য স্ক্যানিং সংকটের কারণে সৃষ্ট জটিলতা জট খুলতে যাচ্ছে শিগগিরই। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বিমানবন্দরে চারটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশান স্ক্যানারের (ইডিএস) দুটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ ঠিক হবে। বর্তমানে চালু রয়েছে একটি ইডিএস। বাকি একটি ইডিএসও আগামী মাসের মধ্যে চালু হওয়ার আশা করছেন তারা।
ফলে আগামী মাসের ১৫ তারিখ নাগাদ বিমানবন্দরে স্ক্যানিং নিয়ে বিদ্যমান সমস্যার ৮০ শতাংশই কেটে যাবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের (বাফা) পরিচালক নাসির আহমেদ খান।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, ৪টি ইডিএস এর মধ্যে ১টি গত ১১ অক্টোবর সচল হয়েছে। বাকি দুটি ২১ অক্টোবরে ইউরোপের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করে গেছেন, যার রিপোর্ট নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পাওয়া যাবে। আমরা আশা করছি, পজিটিভ রিপোর্ট আসবে এবং প্রথম সপ্তাহেই দুটি ইডিএস চালু হবে। বাকি ইডিএসও নভেম্বরের মধ্যে চালু হবে।
গত কয়েক মাস ধরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইডিএস কাজ না করায় পণ্য স্ক্যানিংয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। একই সময়ে বিমানে পণ্য আমদানি-রপ্তানির পরিমাণও বাড়ে। দ্বিমুখী জটিলতায় পড়ে কোন কোন রপ্তানিকারক তাদের পণ্য কলকাতায় বিমানবন্দরে নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তারপর রপ্তানি করেন।
এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিমানবন্দর পরিদর্শন করে এই অব্যবস্থাপনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আমদানি-রপ্তানিকে সহজ করতে দ্রুত এসব ইডিএস সক্রিয় করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি। এরপর থেকে ইডিএস সক্রিয় করার কার্যক্রমে গতি বাড়ে।
জানা গেছে, এর মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে যুক্তরাজ্য। এর বাইরে অন্যান্য এয়ারলাইন্স কোম্পানিও ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরে জট ধীরে ধীরে কমছে বলে জানান নাসির আহমেদ খান। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, শীতের পণ্য (মূলত পোশাক) ইতিমধ্যে চলে গেছে।
তিনি জানান, এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ টন পণ্য বিভিন্ন দেশে বিমানের মাধ্যমে যায়। যার মধ্যে ইউরোপগামী প্রতি কেজি পণ্যের ফ্রেইট চার্জ বর্তমানে ৬ থেকে ৬.৫ ডলার আর যুক্তরাষ্ট্রগামী প্রতিকেজি পণ্যের চার্জ ১২ থেকে ১৪ ডলার।