বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই চিরনিদ্রায় শায়িত হাসান আজিজুল হক
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। দুপুর আড়াইটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করা হয়।
তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা বিহাসের 'উজান' থেকে হাসান আজিউল হকের মরদেহ তার শেষ কর্মস্থল দর্শন বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানান দর্শন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নিয়ে আসা হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
দুপুরে যোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করা হয়।
হাসান আজিজুল হকের সবচেয়ে প্রিয় ছিলো বই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণেই সমাহিত হলেন তিনি। তার স্মৃতি ধরে রাখতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার জানান, হাসান আজিজুল হককে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করতে ধারাবাহিকভাবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
গতকাল সোমবার রাত সোয়া ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা বিহাসে তার নিজ বাসভবন 'উজানে' মৃত্যুবরণ করেন হাসান আজিজুল হক।