বুড়িগঙ্গা দূষণরোধে রায় বাস্তবায়ন না করায় ওয়াসার এমডিকে সর্তক করলেন হাইকোর্ট
বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ বন্ধে রায় বাস্তবায়ন না করায় ওয়াসার এমডি তাকসিম এম খানকে সর্তক করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে রায় বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম এবং ওয়াসার এমডির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা।
এর আগে ঢাকার শ্যামপুরের ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকার পরিচালিত বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে বর্জ্য নিঃসরণে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১০ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১১ সালে হাইকোর্ট তার রায়ে ওয়াসার এমডিকে ৬ মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে কারখানার বর্জ্য নিঃসরণ লাইন বন্ধের নির্দেশ দেন।
কিন্তু রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় একটি সম্পূরক আবেদনের ওপর শুনানিতে ওয়াসার এমডি তাকসিম এম খান গত ৪ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের জন্য আদালতে প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে গত ১৮ আগস্ট এবং ৭ সেপ্টেম্বর দুটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় তা গ্রহণ না করে সময় দেন হাইকোর্ট।
এদিকে, এদিন শুনানিতে ওয়াসার এমডির পক্ষে আরও একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ না করে ওয়াসার এমডিকে সতর্ক করেন এবং বারবার সময় নিয়ে রায় বাস্তবায়ন করার তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার বিষয় উল্লেখ করেন।
আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, ওয়াসার এমডি ইচ্ছাকৃত রায় প্রতিপালন করছেন না এবং বারবার প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করছেন।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতকে বলেন, রায়ের ৯ বছর পার হলেও টালবাহানা করে রায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। যে কারণে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ বন্ধ হচ্ছে না এবং ওয়াসা তাদের দায়িত্ব বারবার পালনে ব্যর্থ হয়েছে।