বেক্সিমকোর করোনা প্রতিরোধী ওষুধ বাজারে, প্রতি ক্যাপসুল ৭০ টাকা
দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার তৈরি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওরাল পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ 'মলনুপিরাভির' দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে ওষুধটির জেনেরিক সংস্করণের নাম দেওয়া হয়েছে 'এমোরিভির'।
মঙ্গলবার দুপুরে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা।
তিনি বলেন, "ওরাল পিল প্রতিটির বাজার মূল্য ৭০ টাকা। একজন রোগীকে দিনে দুই বেলা আটটি ওষুধ খেতে হবে। ৫ দিনের কোর্স কমপ্লিট করতে খরচ হবে ২৮০০ টাকা।"
কোভিড শনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে ৫ দিনে ৪০টি ওষুধ খেতে হবে বলে জানান তিনি।
বেক্সিমকোর এ কর্মকর্তা বলেন, "কোভিডের মুখে খাওয়া ওষুধ নিয়ে আলোচনা শুরুর পর গত বছরের জুন থেকে বেক্সিমকো এ ওষুধ নিয়ে কাজ করছে। আমরা আগে থেকেই কাজ করছিলাম। গতকাল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা ঢাকার ফার্মেসিগুলোতে ওষুধটি দিয়েছি। আজ ডাক্তারদের সঙ্গে ওষুধটির বিষয়ে কমিউনিকেশন করা হয়েছে।"
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন বিভাগে ওষুধটি পাঠানো হবে। বেক্সিমকোর মার্কেটিং টিমের তথ্য অনুযায়ী যেসব এলাকায় বর্তমানে করোনার সংক্রমণ বেশি, সেসব এলাকায় এই ওষুধ বেশি পাঠানো হবে।
রাব্বুর রেজা বলেন, "এখন ২০০ মিলিগ্রাম এমোরিভির বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। পরে ৪০০ ও ৮০০ মিলিগ্রামের অনুমোদন পেলে তখন খরচ কমে আসবে।"
গত বৃহস্পতিবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড-১৯ অ্যান্টিভাইরাল ওরাল পিল মলনুপিরাভির এর অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য।
যৌথভাবে ওষুধটি প্রস্তুত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক ও রিডগেব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস। চলমান করোনা মহামারি প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এই ওষুধ।
ওষুধটি মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে বলে ট্রায়ালে প্রমাণ মিলেছে। কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের দিনে দুই বার করে এই ওষুধ দেওয়া হয়।
কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর যত শীঘ্রই সম্ভব এবং করোনার সম্ভাব্য উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে 'মলনুপিরাভির' নামের এ ওষুধটি সেবনের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ)।
ওষুধটির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক জানিয়েছে, তারা কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য এ বছরের মধ্যেই এক কোটি কোর্স উৎপাদন করবে। এছাড়া ২০২২ সালে আরও অন্তত দুই কোটি কোর্স উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা।