মেয়েদের ফিরে পেতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল সেই জাপানি মায়ের
সাত এবং এগারো বছর বয়সী দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তাদের মা, জাপানের নাগরিক নাকানো এরিকো।
এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায়টি স্থগিত চেয়ে লিভ-টু-আপিলের আবেদন করা হয়েছে।
"এই মা তার দুই মেয়ের কাস্টডি চান," যোগ করেন আইনজীবী।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর এরিকোর দুই শিশুকন্যা বাংলাদেশে তাদের বাবার জিম্মায় থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়, মা নাকানো এরিকো প্রতি তিন মাস পরপর জাপান থেকে বাংলাদেশে এসে অন্তত দশ দিন করে দুই মেয়ের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। ওই দশ দিনের থাকা-খাওয়া এবং জাপান থেকে আসা-যাওয়ার সব খরচ বহন করবেন তার প্রাক্তন স্বামী ইমরান শরীফ। অতিরিক্ত সময় যাওয়া-আসা এবং থাকার খরচ মা নিজে বহন করবেন।
এছাড়াও গত কয়েক মাস বাংলাদেশে থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য খরচের জন্য এরিকোকে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে দশ লাখ টাকা পরিশোধ করতে ইমরানকে আদেশ দেন আদালত।
বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তিন মেয়ের বাবা-মা ইমরান ও এরিকো ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি আইনমতে বিয়ে করেন।
এরিকোর আইনজীবী জানান, ইমরান ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির হতে তিনি ব্যর্থ হন। বিবাহবিচ্ছেদের প্রেক্ষিতে সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে জটিলতা দেখা দেয়।
তিন দিন পর ইমরান তার দুই মেয়েকে টোকিওতে তাদের স্কুলের বাস স্টপ থেকে তুলে নেন এবং এরিকোর সম্মতি ছাড়াই মেয়েদের একটি ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যান। ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
পরবর্তীতে গত আগস্টে নাকানো তার দুই মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।