যে কারণে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ নেই
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ও আরিচা এলাকায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি নৌরুট। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষের রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই দুই নৌরুট।
এর মধ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। আর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলছে তিনটি ফেরি। সময়মত ফেরিগুলো ছেড়ে যাবার কারণেই মূলত ব্যস্ততা নেই আরিচা ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়; যাত্রী ও যানবাহনের চাপও তুলনামূলক কম।
রোববার দুপুরে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার তিন নাম্বার ঘাট পন্টুন এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ জন ঘরমুখো অপেক্ষমান মানুষের দেখা পাওয়া যায় সরেজমিনে। প্রায় আধ ঘন্টা পর পর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের তিন নাম্বার ঘাট পন্টুনে নোঙর করছে।
জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি নৌরুট পার হচ্ছে এসব ফেরিতে। সেই সঙ্গে প্রতিটি ফেরিতে ৪০ থেকে ৫০ জন করে যাত্রীরাও নৌরুট পারাপার হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের জন্য ঘাট এলাকায় যাত্রীর চাপ কম বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্টে আলাপ হলে যশোরের যাত্রী আসাদ মিয়া বলেন, গাবতলী থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল করে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পর্যন্ত এসেছেন তিনি। ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ কম থাকায় ফেরিঘাট এলাকায় খাবারের হোটেল সন্ধান করছেন। খাবার শেষে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পারাপার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন বলে জানান তিনি।
সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ঘাটমুখী যাত্রীর চাপ ছিল। শনিবার সকালে ঘাটমুখী কিছু মানুষের চাপ থাকলেও দুপুরে সেই চাপ কমে আসে। অপরদিকে নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় যাত্রী পারাপারে ফেরিঘাট এলাকায় নেই কোন ভোগান্তি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৪টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি কোন চাপ নেই। প্রতিটি ফেরিতে ৪০ থেকে ৫০ জন বা কখনো এর সামান্য অধিক যাত্রী নৌরুট পারাপার হচ্ছে। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম বলে মন্তব্য করেন তিনি।