রাজশাহীতে দুর্ঘটনায় ১৭ মৃত্যু: বাসচালক গ্রেপ্তার
রাজশাহীর কাটাখালীতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা ও কয়েকজনকে জখমের অভিযোগে হানিফ পরিবহনের বাসচালক আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে আসামি রহিমকে বেলপুকুর থানার মহেন্দ্রা বাইপাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রহিম পুঠিয়া উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। এর আগে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা ও কয়েকজনকে জখমের অভিযোগে কাটাখালি থানার এসআই নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে রহিমের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাটাখালী থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে হানিফ পরিবহনের বাসচালক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ১৭ জন নিহন হন। আহত হন আরও কয়েকজন।
এদিকে নিহত ১৭ জনের মধ্যে ৫ জনের লাশ শনিবার দুপুরে শনাক্ত করেছেন তাদের স্বজনরা। এরা হলেন পীরগঞ্জের ফুলমিয়া, তার দুই মেয়ে সুমাইয়া ও সাদিয়া, তাজুল ইসলাম ভুট্টো ও তার ছেলে ইয়ামিন। অন্য ১২ জনের লাশ পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের চিনতে পারছেন না স্বজনরা। দুপুরে তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়। এরপর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
বলে রাখা ভালো, পাঁচটি পরিবারের ১৮ জন সদস্য মাইক্রোবাসে করে পীরগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে বেড়াতে আসছিলেন। শুক্রবার দুপুরে হানিফ পরিবহনের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় ওই মাইক্রোবাসে। ঘটনাস্থনেই ১১ জন আগুনে পুড়ে মারা যান। আহত আরও ৬ জন মারা যান হাসপাতলে।
মাইক্রোবাসে থাকা পাভেল নামে একমাত্র কিশোর বেঁচে যান। তবে তার অবস্থাও সংকটাপন্ন। তাকে রাখা হয়েছে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে।
নিহতদের লাশ এখনো রয়েছে রামেকের মর্গে। লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যক সদস্যের জন্য ১০ হাজার টাকা হিসেবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।