রুশ ভাষায় অনূদিত বই প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রুশ ভাষায় অনূদিত দুটি বই রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের অধ্যাপক ড. ভি নাউমকিন অনূদিত বই দুটোর নাম- ‘শেখ মুজিবুর রহমান অ্যান্ড বার্থ অব বাংলাদেশ’ এবং ‘আনফিনিশড মেমোয়ারস অব বঙ্গবন্ধু’।
বইগুলোর প্রকাশক ড. নাউমকিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তাঁর হাতে কপিগুলো তুলে দেন।
একই সঙ্গে তিনি ‘কনভারসেশন অব প্রফেসর ড. ভি নাউমকিন উইথ শেখ হাসিনা’ শীর্ষক একটি বইয়ের কপিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা বই চারটি ভাষায়- বাংলা, রুশ, ইংরেজি ও আরবিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
অধ্যাপক নাউমকিন প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, আগামী বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে ‘আনফিনিশড মেমোয়ারস অব বঙ্গবন্ধু’ ব্যাপকভাবে বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ চমৎকার উন্নয়নের দেখা পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে খুব ভালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান এ কথা জানিয়ে অধ্যাপক নাউমকিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে তাদের উন্নয়নে সহযোগিতা বিদ্যমান রয়েছে।’
রাশিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর দেশ কেন্দ্রটির জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল তৈরি করতে বিশেষ করে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও অন্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে তারা নিজেরাই কেন্দ্রটি পরিচালনা করতে পারেন।
শেখ হাসিনা রুশ ভাষায় বইগুলোর অনুবাদ ও প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যাপক নাউমকিনকে ধন্যবাদ জানান।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রুশ তথা সাবেক সোভিয়েত সরকার ও তাদের জনগণের সমর্থন পাবার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধশেষে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, মাইন অপসারণ করার সময় রুশ নৌবাহিনীর অনেক সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্য হল, একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন।