শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে হাজারো মানুষের পদ্মা পাড়ি
লকডাউনের ঘোষণায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রবিবার ভোর থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে; এ সময় ফেরিতে ঢাকা ও দক্ষিণ বঙ্গগামী উভয়মুখী হাজার হাজার যাত্রীদের পারাপার করতে দেখা যায়। আগামী সোমবার থেকে 'সীমিত পরিসরে লকডাউন' এবং পহেলা জুলাই থেকে 'সর্বাত্মক লকডাউন' এর ঘোষণায় বিগত কয়েকদিনের চেয়ে এ দিন আরো বেড়েছে যাত্রী পারাপার। একইসাথে পারাপার হচ্ছে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন।
সরেজমিনে সকাল থেকে দেখা যায়, নৌরুটের প্রতিটি ফেরিতেই অল্প সংখ্যক যানবাহন, সাথে যাত্রীদের ভিড়। তবে সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। শুধুমাত্র পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হতেও দেখা যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহমেদ জানান, 'নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। তবে গাড়ির চাপ নেই। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। জোর করে প্রতিটি যাত্রীরা ফেরিতে উঠে যায়'।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, 'লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঢাকা থেকে ঘাটে আসছে। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছে'।