শীতের রোগে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৫,৮৯৯ জন
শীতের প্রকোপ বাড়ছে। শীতের সঙ্গে বাড়ছে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ডায়রিয়া, জণ্ডিস, চোখের প্রদাহ, এবং জ্বরসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হেয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৮৯৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শ্বাসতন্ত্রের রোগ ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২৯ জন, ডায়রিয়ায় ১ হাজার ৯৫৮ জন এবং জন্ডিস, জ্বরসহ অন্যান্য রোগে ৩ হাজার ১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৫৫৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৭৮ জন, রংপুর বিভাগে ৩২৯ জন, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৮২৫ জন, বরিশালে ৩১৩ জন, সিলেটে ৩২৪ জন, ঢাকা বিভাগে ৮৭৮ জন এবং ময়মনসিংহে ৪৯৫ জন শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, দেশের ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্যানুসারে এই হিসাব করা হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে শীতকালীন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত শীতকালীন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬২ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালীন রোগ মূলত ভাইরাস জনিত। রোটা ভাইরাসের কারণে শীতে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরণের রোগ বাড়ে। সে কারণে এসব রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পরিচ্ছন্নতা, বিশুদ্ধ পানি পান জরুরি।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, শিশু এবং বৃদ্ধদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই শীতের প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত রাখতে তাদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। এই সময়ে জ্বর, ঠাণ্ডা বা কাশি হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় পরিধান করতে হবে, পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।