সন্দ্বীপ চ্যানেলে আরো ৭ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার
নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালানোর সময় নৌকাডুবির ঘটনায় সন্দ্বীপ থেকে ৭ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দিনব্যাপী সন্দ্বীপের সন্তোষপুর, বাউরিয়া, মগধরা এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগের দিন সোমবার সন্দীপ থেকে আরো দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এ নিয়ে সন্দীপ থেকে মোট ৯ জন সহ ১১ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড সারিকাইত কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সাজু আহামদ টিবিএসকে বলেন, মঙ্গলবার সন্দ্বীপ থেকে ৫ নারী ও ২ পুরুষসহ ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত সোমবারও দুই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহগুলো ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় কাঠের নৌকায় ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ৩৮-৪০ জন রোহিঙ্গার একটি দল। পরে ভাসানচর থেকে আনুমানিক ১৫-২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রামের কাছে বঙ্গোপসাগরে নৌকাটি ডুবে যায়।
ভাসানচর থানার এসআই বিল্লাল টিসিএসকে বলেন, সন্দীপ উপজেলাসহ এ পর্যন্ত ১১ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার পর থেকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর জাহাজ দিয়ে বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে।