সব কেন্দ্রে হেরেছে নৌকা! এক কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টই আসেননি
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নে সুষ্ঠু ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম সাগর কোনো কেন্দ্রেই পাশ করেননি। ৯টি ওয়ার্ডের ১০টি ভোট কেন্দ্রে হেরেছেন তিনি।
একটি কেন্দ্রে সাগরের কোনো এজেন্টই আসেননি। ঘোষিত ফলাফলে তিনি হয়েছেন তৃতীয়। এই পরাজয়ের জন্য তিনি ও দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন। নুরুল ইসলাম সাগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়ন থেকে ৪ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা খালেদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৭।
আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম সাগর হয়েছেন পেয়েছেন ১ হাজার ৫১৩ ভোট। নৌকার প্রার্থী শান্তিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পেয়েছেন মাত্র ২২ ভোট। এ কেন্দ্রে তার এজেন্ট আসেননি।
কেন্দ্রভিত্তিক ৯টি ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ৬টিতে হাতপাখার প্রার্থী মাওলানা খালেদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু বিজয়ী হয়েছেন।
চর কাদিরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম সাগর বলেন, 'উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কারণেই আমি হেরে গেছি। তারা ষড়যন্ত্র করে নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।'
নৌকা প্রতীকের এমন পরাজয়ের ঘটনার পরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন তার ফেসবুকে খিলেছেন, চর কাদিরা ইউনিয়নে নৌকার হারের জন্য কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ দায়ী। তার এমন মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল নুরুল আমিন মাস্টার বলেন, 'নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি; কোনো ত্রুটি ছিল না। স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী বিদ্রোহীর পক্ষে যাওয়াতে ক্ষতি হয়েছে। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিম কুমার দাস শ্রীপদকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।
১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে কমলনগরে ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চর কাদিরা ইউনিয়নে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। চর মার্টিন ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউছুফ আলী। এছাড়াও চর লরেন্স ইউনিয়নে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার।