সরকার কোনো টিভি চ্যানেল বন্ধ করেনি: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, সরকার কোনো টিভি চ্যানেল বন্ধ করেনি।
আজ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন মেনে বিজ্ঞাপন প্রচারকারী বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করায় চ্যানেল বিতরণকারী ও অপারেটরদের সাধুবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।
১লা অক্টোবর মধ্যরাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে ক্যাবল অপারেটররা দেশজুড়ে সকল বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। দর্শকরা তাদের টিভির পর্দায় বিদেশি চ্যানেলের জন্য ব্রাউজ করলে কেবল একটি বার্তা দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে লেখা, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিজ্ঞাপনসহ কোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে না।
যার মানে, এই বার্তা অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত ক্যাবল টিভি অপারেটরদের বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এর আগে ২ সেপ্টেম্বর তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেদিন সচিবালয়ে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন কোম্পানি (এটিকো), আকাশ ডিটিএইচ (বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে হওয়া এক বৈঠকের পর আসে এই সিদ্ধান্ত।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ক্লিন ফিড প্রদান না করলে বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হবে। 'ক্লিন ফিড'-এর অর্থ একটিই, চ্যানেলগুলো কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম বলেন, "আমাদের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলোর জন্য ক্লিন ফিড বজায় রেখে সম্প্রচার করাটা বাধ্যতামূলক।"
তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্তের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সরকার সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি চ্যানেলই বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না। যে কারণে বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করার আগে বেশ কয়েকবার তাদের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে সরকার। বিদেশি ক্যাবল চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পর কেবল অপারেটররা এখন এই বিষয়ে আলোচনা করতে চ্যানেল সম্প্রচারকদের সঙ্গে বসতে চাইছে।