সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু: আদালতে ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামি
মেজর (অব.) সিনহা মো.রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অবশেষে শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে আদালতে হাজির করা হয়েছে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপসহ মামলার আসামী ১৫ জনকে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে আসামিদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
পিপি বলেন, 'আজ ২৩ আগস্ট হতে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবেন। প্রথমদিন তিনজন সাক্ষী স্বাক্ষ্য দেবেন। তারা হলেন, সিনহার বড় বোন মামলার বাদি শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত ও টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৮৩ জন।'
ফরিদুল আলম আরও বলেন, 'গত ২৬-২৮ জুলাই তিনদিন সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণে রোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলায় তা সম্ভব হয়নি। পরে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। আদালতে হাজির থাকতে ১৫ জন সাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়।'
নোটিশ পাওয়া সাক্ষীরা হলেন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, শামলাপুর এলাকার মো. আবদুল হামিদ, মো. ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মো. আমিন, মো. কামাল হোসেন ও মো. শওকত আলী, রামু সেনানিবাসের সার্জেন্ট মো. আয়ুব আলী, সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও রনধীর দেবনাথ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের হাফেজ জহিরুল ইসলাম।
বলে রাখা ভালো, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা, র্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।