হবিগঞ্জে অগ্নিসংযোগ ও ব্যালট পেপার ছিনতাই, আহত অন্তত ৩০
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জুলসুখা ইউনিয়নে ভোট গণনার সময় আজ ব্যালট পেপার ছিনতাই ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
যে কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে পাঁচটার দিকে জুলসুখা ইউনিয়নের আটপাড়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকেরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই দলের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
ভোট কেন্দ্রের পাশাপাশি আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি-ঘরেও ভাংচুর চালানো হয়।
জানা যায়, ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়েও সংঘর্ষ থামাতে পারেননি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সাদেকুল ইসলাম জানান, এই কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
ওসি মোঃ নূরুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। পরবর্তীতে আরও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। যা গণনা করা হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"
দুই প্রার্থী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এডভোকেট রোকসানা আক্তার শিখা (নৌকা মার্কা) এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদ খেলু (আনারস মার্কা) এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।