২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় সারাদেশে নিহত ১১৩: আসক
চলতি বছর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতায় সারা দেশে নিহত হয়েছেন ১১৩ জন। এছাড়া পৌর ও সিটি করপোরেশন ভোটের সংঘাতে প্রাণহানি ঘটেছে আরও ১৩ জনের।
আজ শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে গত এক বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে এসব তথ্য জানায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
গত এক বছরে সারাদেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১,৩২১ জন নারী। গত বছর ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন মোট ১,৬২৭ জন নারী এবং ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১,৪১৩।
আসক জানায়, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৬৭২টি ঘটনায় ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
পৌর ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৮৩টি সহিংসতার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং ২০২১ সাল জুড়ে সারাদেশে রাজনৈতিক সংঘাতে ১৫৭ জন মারা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে যৌথভাবে মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির ও সহকারি সমন্বয়কারী অনির্বাণ সাহা।
আবু আহমেদ ফয়জুল কবির জানান, গত এক বছরে দেশে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৭ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে সংগৃহীত আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ১২৮ নারী।
এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন ৭৭ পুরুষ। উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ নারী। এছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩ নারী ও ৫ পুরুষসহ খুন হয়েছেন মোট ৮ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আসক আরও জানায়, এ বছর পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৬৪০ নারী। যাদের মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা যান ৩৭২ জন এবং আত্মহত্যা করেন ১৪২ জন।
অন্যদিকে ২০২১ সালে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার শিকার হন ৭২ নারী এবং আত্মহত্যা করেন ১৩ নারী।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই এক বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮০ জন।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আসকের মহাসচিব মো. নূর খান, নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল ও পরিচালক নীনা গোস্বামী।