১ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভা
চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সম্পর্কিত সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে ২০১০ সালে গঠিত হয়েছিলো চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটি। প্রতি বছর ৪টি করে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছে মাত্র ১৩টি।
১ বছর ৩ মাস পর আগামী ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১৪তম সভা। এতে স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন কমিটির প্রধান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এদিকে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভা নিয়মিত অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তারা বলছেন সভার ধারাবাহিকতা না থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়না।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী ফোরামের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি মাহবুবুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে সভা অনুষ্ঠিত হতে দেরি হয়েছে, তবে এর আগেও এক ও দুই বছর পর সভা হয়েছে। বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতার জন্য অবশ্যই প্রতি ৩ মাস পরপর উপদেষ্টা কমিটির সভা হওয়া উচিৎ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর বলেন, আগামী ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর অডিটরিয়ামে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১৪ তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে যারা স্বশরীরে অংশ নিতে পারবেন না তাদের অনলাইনে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে যুক্ত রাখার ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ১৩তম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে আর সভা করা সম্ভব হয়নি।
বন্দর সুত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরে ১৪তম সভা হওয়ার কথা থাকলেও কমিটির প্রধান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সভাটি বাতিল করা হয়।
বন্দরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী সভাপতি এবং বন্দর চেয়ারম্যান সদস্য সচিব করে ২০১০ সালে ৬০ সদস্যের বন্দর উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। এতে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত আসনের দুই মহিলা সংসদ সদস্য, সিটি মেয়র, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সুত্র জানায়, ২০১০ সালে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের পর ওই বছরের শেষ কোয়ার্টারে ১০ অক্টোবর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৩ মাস পর পর বছরে ৪টি সভা করার বিধান রয়েছে।
২০১০ সালে শেষ কোয়ার্টারে প্রথম সভা হওয়ায় সেই বছর বাদে পরবর্তী ৯ বছরে ৩৬টি সভার জায়গায় ২০১১ সাল থেকে এপর্যন্ত মাত্র ১২ টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বছরে ১টি সভা অনুষ্ঠিত হয়নি এমন ঘটনাও রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালে ১টি, ২০১১ সালে ৩টি, ২০১২ সালে ২টি, ২০১৩ সালে ১টি, ২০১৪ সালে ২টি, ২০১৬ সালে ১টি, ১৭ সালে ১টি সভা হয়। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে কোনো সভাই হয়নি।