‘গণধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ফের ধর্ষণ করলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা’
ভোলার মনপুরার নির্জন এক চরে নিয়ে আড়াই বছরের শিশু সন্তানের সামনে মাকে গণধর্ষণ করেছেন চার দুর্বৃত্ত; এমন খবর পেয়ে স্পিডবোটে চেপে ঘটনাস্থলে যান সাবেক এক স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা। এরপর অভিযুক্ত চার ধর্ষককে মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে নিজেই ধর্ষণ করেন ওই নারীকে। ঘটনাটি কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে মনপুরার চর পিয়াল এলাকার এক বাগানের মধ্যে এ গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী শনিবার রাতে বাদী হয়ে মনপুরা থানায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকেই জানা গেছে ঘটনার সত্যতা।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা বাবার বাড়ি থেকে বেতুয়া লঞ্চঘাট হয়ে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্পিডবোটে ওই নারী যাত্রী নিজের শিশু সন্তানকে নিয়ে মনপুরায় শ্বশুর বাড়ি ফিরছিলেন।
“পথে বোটে থাকা যাত্রী দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) ও কিরন (২৬) জোরপূর্বক বোটটি পার্শ্ববর্তী নির্জন চর পিয়াল এলাকায় নিয়ে আড়াই বছরের শিশু সন্তানের সামনেই গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।”
ওসি আরও জানান, পরে খবর পেয়ে বোটের মালিক দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩০) আরেকটি স্পিড বোট নিয়ে চর পিয়াল ঘটনাস্থল গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
“নজরুল ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে কথা বললে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজল জানান, চরে থাকা মহিষের মালিক ও রাখালরা ঘটনাটি তাকে জানালে তিনি মনপুরা থানার ওসিকে বলেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশের পৌঁছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চর পিয়াল থেকে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে মনপুরা থানায় নিয়ে যায়।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন আরো জানান, অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।