বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি
ঈদযাত্রায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু টোল প্লাজায়। ভোররাত থেকেই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা ও মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় যানবাহনের চাপ দেখা দেয়। একসাথে অধিক গাড়ির চাপের কারণে টোল প্লাজার আশেপাশে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির ধীর গতি লক্ষ্য করা যায়। তবে গাড়ির ধরন অনুযায়ী টোল আদায় লাইন নির্দিষ্ট করায় অল্প কিছু সময় অপেক্ষা করেই গাড়িগুলো পাড়ি দিতে পারছে মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু। অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের কোন ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়নি। এই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ভোররাত থেকেই যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে তবে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার সংখ্যায় বেশি। সেতু কর্তৃপক্ষের তরফে নির্বিঘ্নে টোল আদায় এবং পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার জন্য লোকবল ও নিরাপত্তার জন্য অধিক সংখ্যক লোকবল নিয়োজিত রয়েছে।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক হাসিবুর রহমান জানান, গাড়ি, বাস, ট্রাক এবং ব্যক্তিগত গাড়ির লাইন আলাদা করায় নির্বিঘ্নে টোল দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছে।
মাওয়া এক্সপ্রেস টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম জানান, "টোল আদায়ে রাতভর পাঁচটি লাইন সক্রিয় থাকলেও ভোর সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। ছোট ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সংখ্যা বেড়ে গেলেও বর্তমানে ঢাকা থেকে মাওয়ামুখী সাতটি লেন এবং মাওয়া থেকে ঢাকামুখী তিনটি লেন চালু রয়েছে। তবে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় কী পরিমাণ গাড়ি অপেক্ষায় রয়েছে বা কত কিলোমিটার জুড়ে গাড়ির ধীরগতি তা বলা মুশকিল।"