প্রতিটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, ঈদযাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই
পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ট্রেনে ঈদযাত্রার শেষ দিনেও আজ কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অধিকাংশ ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
রাজধানীর কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেন সর্বোচ্চ ১২ থেকে সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা ছাড়ছে।
যাত্রীর অতিরিক্ত চাপের কারণে এই শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। এবার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ছিল অন্যান্য সময়ের থেকে অনেক বেশি।
শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায় হাজারো যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছেন। কেউবা কাঁথা বিছিয়ে শুয়ে আছেন। গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন কেউ কেউ।
জামালপুরের যাত্রী ওসমান ফারুক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "গতকাল রাত ১১টার ট্রেন এখনও (সকাল ১০.৩০) ছাড়েনি। আর যেগুলো ছেড়ে যাচ্ছে সেগুলোতে ওঠার সুযোগ নেই। অগ্রিম টিকেট কেটেও রাত থেকে বসে আছি।"
রংপুরের যাত্রী আশরাফুল বলেন বলেন, "ঈদে এমন ভিড় হবে ভেবে আমার পরিবারকে এক সপ্তাহ আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। অফিস ছুটি না দেওয়ায় এত কষ্ট করে আজকে যাচ্ছি। ঈদে বাড়িতে না যেতে পারলে শান্তি পাব না। কিন্তু এখনো ট্রেনেই উঠতে পারলাম না।"
সকাল সাড়ে ১০টায় জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত সেটি প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়িয়ে ছিল।
মারুফা নামে এক যাত্রী বলেন, "ঈদে ছুটি পাইনি তেমন। এরমধ্যে একটা দিন পথেই গেল। ট্রেন মাত্র এসেছে। ছাড়তে আরও সময় লাগবে।"
এছাড়া, কিশোরগঞ্জমুখী ট্রেন কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসও সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই ট্রেনটিও বেলা ১২টা নাগাদ স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল।
তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, বাকি কোচগুলোও কম-বেশি দেরি করে স্টেশন ছেড়েছে।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, "প্রথম তিনদিন ট্রেনের যাত্রার সময় সঠিক ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রা বিলম্বিত হতে শুরু করে। কারণ বিপুল সংখ্যক যাত্রী একসঙ্গে হুড়মুড় করে স্টেশনে ঢুকতে শুরু করায় নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে ট্রেন ছাড়া যায়নি।"