টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবেশে চলন্ত বাসে উঠে যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা, রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চলাকালে রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
তিনি জানান, অভিযুক্ত রাজা মিয়া কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে; তিনি নিজেও বাসচালক। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
"জড়িতদের বাকি সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে," বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪-২৫ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাত যাত্রীবেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। বাসে থাকা সকল যাত্রীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করে। এসময় বাসের ভেতরেই এক নারী যাত্রীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে এবং বুধবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটিকে বালুর ঢিবির মধ্যে উল্টিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন (বিপিএম) যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি 'দিবারাত্রি হোটেলে' রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বিরতি দেয়। রাত দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহনকরা ১০/১২ জন তরুণ যাত্রী উঠেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই তরুণ দল অস্ত্রের মুখে একে একে একে যাত্রীদের সবাইকে বেঁধে ফেলে।
কয়েক মিনিটের মধ্যে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। এরপর এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। পরে বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ঢিবিতে বাসটি উল্টিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিত ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।