ট্রান্সশিপমেন্ট ট্রায়াল: ৩০ আগস্ট ভারতের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পুরোপুরি চালু করতে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে ২৫ টন টিএমটি বার নিয়ে একটি জাহাজ রওনা হয়েছে। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা চালুর জন্য অবশিষ্ট দুটি ট্রায়াল রানের একটি সম্পন্ন হবে এর মাধ্যমে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৩০ আগস্ট জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো নোটের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ২২ আগস্ট নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে লেখা এক চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে টিএমটি বারবাহী কন্টেইনারগুলো বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে ভারতের শেওলাতে পৌঁছাবে।
মংলা ও চট্টগ্রাম হয়ে ট্রান্সশিপমেন্টের চারটি ট্রায়াল রানের মধ্যে দুটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে চলতি আগস্টে। এই ট্রায়াল সম্পন্ন হলে নিয়মিতভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা চালু করতে আর একটি ট্রায়াল বাকি থাকবে, যা ভারতের তামাবিল থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলকাতা বন্দরে যাবে।
"আগামী দিনে তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে কার্গোর ফিরতি ট্রায়ালের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফিরতি কার্গো ডাউকি শুল্ক স্টেশনে কন্টেইনারে লোড করা হবে এবং কন্টেইনারটি কলকাতায় চূড়ান্ত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তামাবিল শুল্ক স্টেশন হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে", পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে ভারতীয় হাইকমিশন একথা জানান।
২০১৫ সালে ঢাকা ও দিল্লি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এরপর ২০১৮ সালে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি এবং একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষরিত হয়।
এসওপি অনুসারে, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরে পৌঁছানো পণ্য আখাউড়া হয়ে আগরতলায় (ত্রিপুরা) ৪টি সড়ক, রেল ও নৌপথ ব্যবহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। রুটগুলো হলো- ডাউকি (মেঘালয়)-তামাবিল, সুতারকান্দি (আসাম)-শেওলা এবং শ্রীমন্তপুর (ত্রিপুরা)-বিবিরবাজার।
২০২০ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়েছিল প্রথম ট্রায়াল রান। চুক্তিটি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।