রোবটিক্স নিয়ে কথা বলব, এখন নারীর পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে কথা বলার সময় নয়: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নারীর পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে কথা বলার সময় এখন নয়।
তিনি বলেন, "বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি এখন রোবটিক্স নিয়ে কথা বলব, আমি এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কথা বলব। এখন নারীর পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে তো কথা বলার সময় না।"
সোমবার (২৯ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
সভায় শিক্ষা বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিইআরএফ) নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, "বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা এক ধরনের সাম্প্রদায়িক আচরণ দেখছি। কিছুদিন আগে টিপ নিয়ে হয়েছে এক ধরনের কথা। এখন হঠাৎ করে আবার নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কথা হচ্ছে। এগুলো কিন্তু বাংলাদেশে খুব মীমাংসিত বিষয় ছিল। মীমাংসিত বিষয়গুলোকে কারা, কাদের স্বার্থে, কোন স্বার্থে অমীমাংসিত করছে এবং কারা এগুলো নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপন করছে?"
তিনি বলেন, "আমাদের এই ভূখন্ডে সনাতন ধর্মের মানুষ উলুধ্বনি দেন। এটা সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমাদের এখানে যে বিয়েতে গায়েহলুদ হয়, সেটি মুসলিম বিয়ের কোন অংশ বলুন তো! কবুল করা, সাক্ষ্য দেয়া আর দোয়া পড়া- এর বাইরে তো মুসলিম বিয়ের অংশটুকুতে আর কিছু নেই। যারা পাগল করে ফেলছেন…এটার দৈর্ঘ্য এত হতে হবে, ওটার প্রস্থ এত হতে হবে, এসব নিয়ে বলেন তাদের ছেলেমেয়ের বিয়েতেও তো দেখি গায়েহলুদ হচ্ছে।"
এরপরেই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এটা সংস্কৃতির অংশ। আমি সেই সংস্কৃতি মানবো, অথচ টিপ দেওয়ার সংস্কৃতি মানবো না। ঐ সংস্কৃতি মানবো, কিন্তু ছেলেমেয়ে গান শিখবে, কবিতা আবৃত্তি করবে, সেটা মানবো না…এই দ্বিচারীতার তো কোন অর্থ নেই। সমাজে এই দ্বিচারীতা কারা নিয়ে এসেছে, কারা সেটিকে প্রমোট করছে, সেটা আমরা সবাই জানি। আমরা মুখ ফুটে বলি না।"
সমাজে যদি আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা, বাকস্বাধীনতা, সবার স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার চাই, তাহলে এই কুসংস্কার এবং পশ্চাদপদতা চলতে পারে না বলে শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন।