সাভারে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে আটক ২৯, ককটেল উদ্ধার
সাভারে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অন্তত ২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিনটি বোমাসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি অস্ত্রও উদ্ধার করেছে।
পুলিশের দাবি, সড়ক বন্ধ করে বিনা অনুমতিতে আয়োজিত এক মিলাদ-মাহফিল থেকে পুলিশের টহল গাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে একদল দুর্বৃত্ত। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ হামলাকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। পরে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাভার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদ আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, দূর্বৃত্তদের হামলায় রাসেল নামে পুলিশের একজন পরিদর্শকসহ মোট ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
"হামলাকারীদের কাছ থেকে তিনটি ককটেল, লোহার রড ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে," যোগ করেন ওসি।
এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমের ভাই মো. মোশারফ হোসেন টিবিএসকে জানান, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১০ বছর প্রবাসে থাকার পর সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন খোরশেদ। এ উপলক্ষে এলাকাবাসীকে দাওয়াত করে বুধবার (৩১ আগস্ট) এক মিলাদ মাহফিল ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন তারা।
"কোন প্রকার উস্কানি ছাড়াই দুপুরে লোকজন খাওয়া-দাওয়া শুরু করলে হঠাৎ ৮ থেকে ১০ গাড়ি পুলিশ ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এসে আমাদের মারধর ও লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষনিক ১০ জনকে আটক করা হয়," বলেন তিনি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাভার ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান।