বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনার দাবি
বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ এর ব্যনারে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, বাজারে সিন্ডিকেট করে যারা পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে চাল, ডিম ও নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানায়।
বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ এর আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, "সিন্ডিকেটকারীরা ফৌজদারী অপরাধ করেছে। ইতোমধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমরা দাবি করছি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করা হোক। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেলে কেউ সিন্ডিকেট করার সাহস পাবে না।"
তিনি বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাজারের সিন্ডিকেট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু বাজারে পণ্যের মূল্য না কমে দিনদিন আরো বাড়ছে। বাজারে চাল, ডিম, টয়লের্ট্রিজ সামগ্রী, ভোজ্য তেলসহ এমন কোন পণ্য নেই যেখানে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ন নেই।"
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ সুমন হাওলাদার বলেন, পোল্ট্রি ব্যবসা এখন নিয়ন্ত্রণ করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এরা কথায় কথায় খাবার ও মুরগীর বাচ্চার দাম বাড়ায়।
তিনি বলেন, "সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা না করে কতিপয় শিল্পগোষ্ঠিকে সহায়তা করে। এর ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে আগামীদিনে দেশ থেকে পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। ১ লাখ ৬০ হাজার পোল্ট্রির ফার্ম থেকে এখন ৬০ হাজারে পরিণত হয়েছে।"
বাংলাদেশ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির এ কে এম খোরশেদ আলম বলেন, "মিনিকেট নামের কোন ধান নেই। এটা একটা ব্রান্ড। তাই ভোক্তাদের উচিত বাজারে গিয়ে বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজাম চাল কিনতে চাওয়া। এটা করা হলে মিনিকেট নামে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে পারবে না প্রতিষ্ঠানগুলো।"
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ব্যবসায়ীরা মুনাফা করবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলির জবাবদিহিতা নেই।
তিনি বলেন, "সরকারকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রাখতে হবে। যেন সংকটে সেগুলো ভোক্তারা ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারে। যতক্ষণ সরকার বাজারে নিজের সক্ষমতা প্রতিষ্ঠা না করতে পাররে করবে বাজারের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।"
ক্যাব কনজ্যুমার ভয়েস-এর সম্পাদক কাজী আবদুল হান্নান বলেন, "মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে গুরুতর অপরাধীকে লঘুদণ্ডে দণ্ডিত করা হচ্ছে। অপরাধীকে শাস্তিমূলক কোন আইনের অধীনে এনে শাস্তি প্রদান করা হয়নি। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে।"