চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মদের চালান খালাসে বন্দর-কাস্টমস কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারে: দুদক
আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে মদ আমদানি ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দুই লরি মদের চালান খালাসের ঘটনায় বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অভিযান শেষে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ কথা জানিয়েছেন দুদক জেলা সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত। অভিযানে অংশ নেন দুদকের উপপরিচালক (সংযুক্ত) মো. ফজলুল বারী ও সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত টিবিএসকে বলেন, "চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের মত প্রতিষ্ঠানে শুধু মাত্র আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা এত বড় ঘটনা ঘটিয়েছে তা বিশ্বাস যোগ্য নয়। এছাড়াও মামলায় শুধু আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে আসামি করা হয়েছে তাও সন্দেহজনক।"
তাই আমরা আজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ঢাকায় লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। "
গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়ার দুটি মদের চালান নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র্যাব। আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে কুমিল্লা ও পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের হেশি টাইগার কোম্পানি ও বিএইচকে টেক্সটাইলের নাম ব্যবহার করে কন্টেনার দুটি খালাস করা হয়।
শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় চালান দুটিতে ১ হাজার মোট ৩১ হাজার ৬২৫ লিটার মদও পাওয়া যায়। এসব মদের আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য চার কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
পরদিন ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতর থেকে আরেকটি মদের চালান আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে চালানটিতে এক হাজার ৪৩০টি কার্টনে ১৫ হাজার ২০৪ লিটার মদ পাওয়া যায়।
আটক হওয়া মদের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ছিল দুই কোটি তিন লাখ টাকা।
দুটি চালানে প্রায় ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল।