ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৫ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে আজ সোমবার (অক্টোবর ২৪) বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এবং পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরইবির ভৌগোলিক এলাকা বাদে খুলনা, বরিশাল ও বৃহত্তর ফরিদপুর বিভাগের ২১টি জেলা ও ২০টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ওজোপাডিকো।
ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'ঝড়ের কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব জেলায় প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। তাদের সবার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।'
তিনি আরও জানান, 'তবে আমাদের কর্মীরা মাঠে রয়েছেন, যেখানে যেখানে দ্রুত লাইন মেরামত করা যায়, তারা তা করছে।'
আরইবির পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, 'সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের ২৩টি সমিতির ৪৪ লাখ এক হাজার ৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঝুঁকির মধ্যে থাকা এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।'
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতির বিষয়ে আরইবির কর্মকর্তারা বলছেন, 'আমরা সিত্রাং মোকাবিলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলার অভিজ্ঞতা সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছি। মেরামতের সব ধরণের মালামাল, লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফিডার ভিত্তিক কাজ বন্টন, লোকালের সঙ্গে যোগাযোগ, টিম এরেঞ্জমেন্ট করা হচ্ছে। এছাড়া বলা হয়েছে, মোবাইলে কম কথা বলতে; যাতে করে চার্জ বেশিক্ষণ রাখা যায়।'
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকায় সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা খুবই কম ছিল। ফলে উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে কোনো ঘাটতি ছিল না। গতকাল সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৮ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এর আগের দিন গত রবিবার বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।