বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: ২ দিনের ধর্মঘটে তিন চাকার যান
আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে জেলায় তিন চাকার যানবাহন বাধাহীনভাবে চলাচলের সুযোগসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ৪-৫ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিকরা।
রোববার রাতে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সিএনজি, মাহিন্দ্র, অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার মালিক সমিতির সভাপতি আজহাব হোসেন কামাল মোল্লা।
এর আগে ২৬ নভেম্বর, স্থানীয় যাত্রীবাহী যানবাহন ও অন্যান্য থ্রি-হুইলার মহাসড়কে বন্ধ রাখার দাবিতে ৪-৫ নভেম্বর দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন বরিশাল বিভাগের বাস মালিকরা।
এদিকে, পরিবহন ধর্মঘটের এই সময়টাতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সেখানে পঞ্চম বিভাগীয় সমাবেশ করার কথা রয়েছে। ৫ নভেম্বর বরিশালে সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি।
এর আগে বিএনপির গণসমাবেশের আগে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরেও একই ধরনের পরিবহন ধর্মঘট হয়েছে।
৫ নভেম্বর বিএনপির বরিশাল সমাবেশের ভিত্তিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আজহাব হোসেন কামাল মোল্লা বলেন, "এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। ব্যবসায়ী হিসেবে আমাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
এদিকে বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, খুলনা ও রংপুরে সমাবেশ চলাকালে বাস চলাচল বন্ধ ছিল এবং শুধুমাত্র তিন চাকার যান চলেছে এসময়টায়।
"এখন থ্রি-হুইলার শ্রমিকরাও আমাদের ৫ নভেম্বরের সমাবেশের আগে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। শাসক দল জনগণকে সমাবেশে যোগদানে বাধা দেওয়ার জন্য সবাইকে জড়াচ্ছে।"
কিন্তু সরকার বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে আসতে বাধা দিতে ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ৫ নভেম্বর বরিশাল মানব সাগরে পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন এ বিএনপি নেতা।
সমাবেশে বাধা দিতে সরকার বাস মালিকদের ধর্মঘটে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। পূর্ববর্তী পরিবহন ধর্মঘটগুলোতে দলীয় কর্মীদের রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনায় প্রবেশের প্রধান রুটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ নাগরিকরাও।
থ্রি-হুইলার সমিতির দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাস ও শ্রমিকদের দ্বারা তিন চাকার চালকদের হয়রানি বন্ধ করা, সহজ শর্তে তিন চাকার চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা।