পাসপোর্ট অফিসের দেয়ালজুড়ে ক্ষোভ আর আর্তনাদের কথা, সিলেটে আবেদনকারীদের পোহাতে হয় ব্যাপক দুর্ভোগ
সিলেটের পাসপোর্ট অফিসে গেলে এক নাটকীয় অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। অফিসের দেয়ালে আবেদনকারীদের লেখা ভোগান্তি, হতাশা এমনকি উপহাসমূলক পঙক্তি চোখে পড়বে যে কারো।
'ফাগলা কুত্তায় কামরাইলে পাসপোর্ট অফিসে আইয়ো'- সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের ভেতর দিককার দেয়ালে লেখা আছে বাক্যটি। 'ফাগলা কুত্তা' মানে পাগলা কুকুর। কে লিখেছেন এমন কথা- তা জানেন না কেউ। তবে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, পাসপোর্ট করাতে আসা কেউ লিখতে পারেন এমনটি।
এই দেয়ালেই এমন আরেকটি লেখার নিচে নাম আর মোবাইল নাম্বারও পাওয়া গেলো। 'এতো কষ্ট জানলে আগে আইতাম না'- এই বাক্যের নিচেই নাম লেখা রয়েছে, পাশে মোবাইল নাম্বারও লেখা।
ওই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে নিজের নাম কাদির আহমদ বলে নিশ্চিত করেন ব্যক্তিটি। পাসপোর্ট অফিসের দেয়ালে তিনিই বাক্যটি লিখেছেন বলে জানালেন।
কেন এমনটি লিখেছেন জানতে চাইলে কাদির বলেন, 'হারাদিন ধরি লাইনে উবাইয়া (দাঁড়িয়ে) আছলাম। কিচ্ছু খাইতে পারছি না। পানিও না। বাইর হইলেই যদি সিরিয়াল মিস করি লাই অউ ডরে লাইন ছাড়ছি না। খুব বিরক্ত লাগছিল। একদিকে ক্ষুধা, আরেকদিকে সারাদিন উবাইয়া থাকিয়া পাওয়ো বেদনা, বিরক্তি- সবমিলিয়া কান্দতে (কাঁদতে) ইচ্ছা করছিল। এরলাগি মনের দুঃখে দেওয়ালো ইতা লেখছি'।
পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার সময়ের নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সকাল ৭টায় গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। আর রাত ৮টায় সেখান থেকে বের হয়েছেন। একটার পর একটা লাইনে দাঁড়াতে হয়। জীবনের সবচেয়ে তীক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তার এদিন।
কেবল এই দুটি নয়, পাসপোর্ট অফিসের ভেতর দিককার পুরো দেয়াল জুড়েই এমন আর্তনাদ, দুর্ভোগ আর অভিযোগের পংক্তিমালা।
দালালদের দৌরাত্ম্য, লোকবল সংকট আর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ অফিসে আসা সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ আর হয়রানি চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। সারাদিন পেরিয়ে রাত পর্যন্ত পাসপোর্ট আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির পর বিশ্ব শ্রমবাজার খুলে যাওয়া ও শিক্ষার্থী ভিসায় বিদেশ যাওয়ার হিড়িকের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে পাসপোর্ট আবেদনের হার অনেক বেড়ে গেছে। এই বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
দেয়ালজুড়ে হাহাকার
নগরের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে অবস্থান সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের। অফিসের ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকেই পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়া ও পাসপোর্ট গ্রহণ করার পৃথক কাউন্টার। এরপর একটি সরু গলি পেরিয়ে পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার একাধিক কাউন্টার।
ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার জন্য প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় আবেদনকারীদের। ফলে সবসময়ই এখানে ভিড় লেগে থাকে।
এখানকার দেয়ালের রং হলদেটে সাদা। তবে এই রং হারিয়ে ফেলেছে দেয়ালটি। পুরো দেয়ালজুড়ে এখন কালো ছোপ ছোপ। লালও আছে কোথাও। এ আলপনা নয়, মানুষের আর্তনাদ। কলমের কালিতে দেয়ালজুড়ে নিজেদের দুর্ভোগ আর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন পাসপোর্টগ্রহীতারা।
বেশিরভাগ লেখাই অস্পষ্ট হয়ে গেছে। পুরোটা পাঠোদ্ধার করা যায় না। তবে কিছু কিছু এখনও পড়া যাচ্ছে।
এসবের কয়েকটি তুলে ধরা যেতে পারে- 'পাসপোর্ট তৈরি করতে আসলে কিয়ামতের ডাক এসে যাবে। তাই টিফিনসহ যাবতীয় জরুরী জিনিস সাথে আনবেন। নইলে বুঝবেন ঠেলা কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী?' 'পাসপোর্ট অফিস আমারে দেশ ছাড়ার শিক্ষা দিল!'- এই লেখার নিচেই ইংরেজি হরফে লেখা- জুবায়ের আহমদ। এর পাশপাশিই লেখা - 'ভাইরে ভাইরে সারা জীবন মনো থাকবো', 'যত জীবন বাচমু মনো থাকবো রে ... (গালি)' 'সকাল ৬ টা থেকে অপেক্ষা করতেছি। উৎসাহ পেলে সারাজীবন করবো। হাহা খুব মজা লাগতেছেরে ভাই', 'কারো মরার ইচ্ছে হলে পাসপোর্ট অফিসে আসুন', 'জীবনে যা গুণাহ করছি তার পায়শ্চিত্ত', 'বাংলাদেশে যত দুর্নীতি আছে, তার বেশিরভাগই পাসপোর্ট অফিসে হয়,' 'আমি নিজ ইচ্ছায় শিকার করছি, স্কুলে এসএমবি ভাগার জন্য এই শাস্তি', 'জীবনে যা পাপ করেছি তার ফল।'
সেবাগ্রহিতাদের এরকম অসংখ্য অভিযোগ আর হাহাকার ধারণ করে আছে এই দেয়াল। দেয়ালের এই লেখাগুলো চোখ এড়ায়নি সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলামেরও।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সেই দুর্ভোগের কথা তারা দেয়ালে লিখে রাখছে। কিন্তু আবেদনকারীদের তো একদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ আমাদের প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "আমাদের অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা। কিন্তু অতিরিক্ত আবেদনের চাপে আমাদের সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করতে হয়। আমাদের এই দুর্ভোগের কথা আমরা কোথায় লিখবো?"
পাসপোর্ট অফিসে একঘণ্টা
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২ টা। পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে ও বাইরে চারটি লাইন। চারটি লাইনেই দাঁড়িয়ে আছেন শতাধিক লোক। নারী-পুরুষ- শিশুও আছেন লাইনে। একটি লাইন আবেদন জমা দেওয়ার, একটি রোহিঙ্গা পরীক্ষা আর অপর দুটি ফিঙ্গার প্রিন্টের।
আবেদন জমা দেওয়া আর রোহিঙ্গা পরীক্ষার লাইনগুলো অফিস ভবনের বাইরে। খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রহীতারা। হঠাৎ করে রোহিঙ্গা পরীক্ষার জন্য লাইন থেকে চিৎকার দিয়ে উঠেন কয়েকজন।
ঘটনা কী জানতে কাছে গিয়ে আলাপ হয় শোয়েব আহমদ নামে একজনের সাথে। শোয়েব বলেন, "আমরা সকাল থেকে রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। অথচ হঠাৎ করে লাইনের বাইরে থেকে আসা একজনের আবেদন পরীক্ষা করা হচ্ছে। এভাবে মাঝেমাঝেই লাইন ভেঙে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।"
তবে রোহিঙ্গা টেস্টের দায়িত্বে থাকা পাসপোর্ট অফিসের কর্মী এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও তিনি তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।
ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সজল মালাকার বলেন, "সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু লাইন এগোচ্ছেই না। খুব মন্থর গতিতে কাজ করা হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সারাদিনেও এই লাইন শেষ হবে না।"
দু' তলায় পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে গিয়েও দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। এই লাইনে দাঁড়ানো সকলে নানা অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। তাদের একজন সালেহ আহমদ। মাস দেড়েক আগে পাসপোর্টের আবেদন জমা দিয়েছিলেন তিনি। নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে গেলেও তার পাসপোর্ট আসেনি। তাই অফিসে খোঁজ নিতে এসেছেন। কিন্তু কাউন্টারে থাকা লোকজন কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এরপর পরিচালকের সাথে দেখা করতে আসেন সালেহ।
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম তার আবেদনপত্রের স্লিপ কম্পিউটারে পরীক্ষা করে বলেন, সালেহ আহমদ পাসপোর্টের আবেদনে নিজের নামের যে বানান লিখেছেন এর সাথে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের বানানের মিল নেই। একজায়গায় 'ই' এর বদলে 'এ' লিখেছেন তিনি। ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সামান্যতম ভুল থাকলেও পাসপোর্ট দেওয়া হয় না। ঢাকা থেকেই এটি করা হয়। এতে তাদের কিছু করার থাকে না।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, "আমাদের এখানে এই ধরণের সমস্যাই বেশি। মানুষজন আবেদনে ভুল করেন। এরপর আমাদের দোষারোপ করেন।"
পচিালকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে কথা হয় আশরাফ আলী মণ্ডল নামে আরেক আবেদনকারীর সাথে। তিনি বলেন, "আমার বাবার নাম আনসার আলী মণ্ডল। আমার সকল সার্টিফিকেটে এমনটিই লেখা রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার বাবার নামের শেষাংশের 'মণ্ডল' যুক্ত করা হয়নি। আমি আমার পাসপোর্টের আবেদনে বাবার পুরো নামটাই লিখেছিলাম। এখন পাসপোর্ট আটকে দেওয়া হচ্ছে।"
আনসার আলী বলেন, "আমি উচ্চ শিক্ষার্থে যুক্তরাজ্যে যাবো। আগামী মাসেই আমার সেখানে পৌঁছানোর কথা। এখন পাসপোর্ট না পেলে আমি যাবো কিভাবে?"
অভিযোগের অন্ত নেই
সিলেট পাসপার্ট অফিস নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই গ্রাহকদের। অনিয়ম, দুর্নীতি আর মানুষজনকে অহেতুক হয়রানির অভিযোগ এই অফিসের কর্মরতদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে একটি দালাল সিন্ডিকেট। এই দালালদের মাধ্যমে আবেদন আসলে আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না। দ্রুতই সব কাজ হয়ে যায়। আর দালালদের মাধ্যমে না আসলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আবেদনকারীদের কয়েকজনের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে আবেদন করলে তারা আবেদনপত্রে একটি বিশেষ চিহ্ন দিয়ে দেন। এই চিহ্ন দেখলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মীরা বিনাবাক্য ব্যয়ে আবেদন গ্রহণ করে ফেলেন। আর এই বিশেষ চিহ্ন ছাড়া আবেদন করলে তারা আবেদন সহজে গ্রহণ করতে চান না। নানা অজুহাতে আবেদন ফিরিয়ে দেন।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাকিল আহমদ চৌধুরী বলেন, "আমি অনলাইনে আবেদন করি। কিন্তু 'গিভেন নেম' না লেখার কারণ দেখিয়ে আমার আবেদন বাতিল করা হয়। অথচ অনলাইনে সংশোধন করার ব্যবস্থা নেই। পাসপোর্ট অফিসের লোকজন এটি সংশোধন করতে পারেন। তবে তারা করেননি। অথচ দালালদের মাধ্যমে যারা আবেদন করেন তাদের এরকম ভুল থাকলেও কোনো সমস্যা হয় না।"
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আবেদনকারী বলেন, তিনি একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিকে বাড়তি দুই হাজার টাকা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেছেন। আবেদন ফরম পুরণ করাসহ বাকী সব প্রক্রিয়া ওই ট্রাভেল এজেন্সিই সম্পন্ন করবে বলে জানান তিনি।
এরকম অভিযোগ অনেকেই করছে জানিয়ে এসাসয়িশেন অব ট্র্যাভেল এজেন্ট, বাংলাদেশ (আটাব) সিলেট অঞ্চলের সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, "পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম হয়রানি নিয়ে অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করে। দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট জমা না দিলে হয়রানির শিকার হতে হয় বলেও তাদের অভিযোগ। মানুষজনের এমন হয়রানি দূর করতে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদেরই উদ্যোগী হতে হবে।"
তবে দালালদের দৌরাত্মের অভিযোগ অস্বীকার করে পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক পরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, "এখন দালালদের একেবারে উৎপাত নেই। আমি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব মনিটর করি। এখন কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। তবে আবেদনের চাপ বাড়ায় মানুষজনকে কিছু দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।"
লোকবল সংকট, যান্ত্রিক ত্রুটি
পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলেন তরুণ চিত্রশিল্পী দ্বীপ দাস। আবেদন জমা দিতেই দুইদিন লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে তাকে।
দ্বীপ দাস বলেন, "আমি আগের দিন সকাল থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সারদিন লাইনে দাঁড়ানোর পর বলা হয়, সার্ভার নষ্ট। পরদিন সকাল ৭টা থেকে আবার লাইনে দাঁড়াই। এরপর দুপুরের দিকে আমার ছবি তোলা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়।"
পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লোকবল সঙ্কট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রহীতাদের।
পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক পরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, এই অফিসে পদ রয়েছে ৩২ টি। কিন্তু কর্মরত এছে ১৯জন। ডিএডি, একাউন্টেন্ট ও কয়েকটা অপারেটরের পদ খালি রয়েছে।
তিনি বলেন, "এখানে যান্ত্রিক ত্রুটিও সবসময় লেগে থাকে। সার্ভার বিকল হয়ে যায়। নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে। এগুলো ঢাকা ঠিক না করলে আমাদের কিছু করার থাকে না। একারণে মানুষজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।"
মাজহারুল ইসলাম বলেন, "করোনার পর বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার খুলেছে, উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেকে বিদেশে যাচ্ছে। ভারতেরও ভিসা খুলছে। একারণে পাসপোর্ট আবেদনের চাপ অনেক বেড়েছে।"
"প্রতিদিন প্রায় ৮শ' আবেদন আমাদের গ্রহণ করতে হয়। আমার বিশ বছরের চাকরি জীবনে এরকম চাপ কোনোদিন দেখিনি। অথচ এই চাপ সামলানোর মতো লোকবল ও আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি আমার নেই।"
এখন পাসপোর্টের জন্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য ছবি তোলা, ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলানোতে ২০ মিনিটের মতো লেগে যায়। রোহিঙ্গা পরীক্ষার জন্য আমার এখানে মাত্র একটা মেশিন রয়েছে। ফলে এখানে সবসময়ই ভিড় থাকে।