এবার ৭৩ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস
এবার ৭৩ কন্টেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংস করবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ১৪ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর আনন্দ বাজারের বন্দর জোনে এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেনশন) মুহাম্মদ মাফজুল আলম টিবিএসকে বলেন, "বন্দরের ভেতর ও বিভিন্ন অফডকে থাকা রেফার্ড (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) ও ড্রাইসহ ৭৩টি কন্টেইনারের পণ্য ধ্বংস করা হবে।"
ধ্বংসযোগ্য পচনশীল পণ্যচালানের মধ্যে রয়েছে আদা, সুপারি, খেজুর, ক্যারোলা বীজ, মাছের খাদ্য, মাছসহ বিভিন্ন পণ্য। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আনন্দবাজার এলাকায় সিটি কপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডের পার্শ্বে ৪২০ টি কন্টেইনার আমদানি নিষিদ্ধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংস কার্যক্রম শেষ হওয়ার দেড় মাস পর গত ৮ নভেম্বর মধ্য রাতে একটি চক্র রাতের অন্ধকারে মাটি খুঁড়ে ধ্বংস করা পণ্য উত্তোলন করে। বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে স্থানান্তরের সময় ১৪টি ট্রাক আটক করে পুলিশ। ২০টির অধিক ট্রাক পণ্য নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ২ জনকে আসামী করে ৯ নভেম্বর বন্দর থানায় মামলা করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। তবে এবারের ধ্বংস কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর পণ্য চুরি ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।
নিয়ম অনুসারে, আমদানিকারকদের ৩০ দিনের মধ্যে তাদের পণ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানি না নিলে কাস্টমস হাউস সেসব পণ্য নিলাম করে।
আমদানিকৃত পণ্যের যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় সেগুলো বন্দরে নষ্ট হয়ে গেলে শুল্ক কর্তৃপক্ষ সেসব পণ্য ধ্বংস করে দেয়।