চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে জাতীয় পরিকল্পনা করতে হবে: ফরহাদ মজহার
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে গতকাল (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, 'চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গটি সরাসরি নগরায়নের সাথে জড়িত। আমরা কেমন বন্দর আমরা চাই তার একটি জাতীয় পরিকল্পনা আমাদের করতে হবে।
'সব স্টেকহোল্ডার মিলে আমরা একটি খড়সা দলিল কিংবা পরিকল্পনা তৈরি করতে পরি। কোটি টাকা খরচ করে এই পরিকল্পনা করার কোন মানে হয় না। আমরা নিজেরা মিলে এই পরিকল্পনা করতে পারি।'
বন্দর সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত 'আনলকিং দ্য ফিউচার: স্ট্র্যাটেজিস ফর এনহান্সিং চিটাগং পোর্টস ক্যাপাসিটি' শীর্ষক বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ঊর্ধতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ মজহার আরও বলেন, 'জিওপলিটিক্যাল কারণে চট্টগ্রাম বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দরের সাথে দেশের অর্থনীতির বিকাশ জড়িত। একইভাবে বন্দরের সক্ষমতার সাথে বিনিয়োগের যোগসূত্র রয়েছে।'
তিনি বলেন, 'গণসার্বভৈৗমত্ব, অর্থাৎ জনগণের নিজের কর্তৃত্ব নিজের হাতে গ্রহণ করা, পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবে পরিণত করতে হবে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ঠিক থাকলে অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে।'
দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও গুরুত্ব দেন ফরহাদ মজহার।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যদি অর্থনৈতিকভাবে বিকাশ লাভ করতে পারি, তাহলে ত্রিপুরা, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ভূরাজনৈতিক অবস্থা আমরা তৈরি করতে পারব।'
বৈঠকে বক্তারা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহনের জন্য করা আইনকে 'কালো আইন' হিসেবে অভিহিত করেন।
এ সময় তারা বলেন, সেসব আইন বাতিল করতে হবে। এছাড়া আগামী লীগ সরকারের সময়ে যেসব প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে বছরের পর বছর বন্দর পরিচালনায় যুক্ত আছে, সেই সিন্ডিকেট ভাংতে হবে।
বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনা দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার বিরোধিতাও করেন বক্তারা।