তুমব্রু সীমান্তে মাদক অভিযানে ডিজিএফআই কর্মকর্তা ও রোহিঙ্গা নারী নিহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে নোম্যানসল্যান্ডে গতকাল সোমবার রাতে র্যাব ও ডিজিএফআই'র অভিযানের সময় মাদক 'চোরাচালানিদের' গুলিতে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা ও একজন রোহিঙ্গা প্রসূতি নারী নিহত হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরে (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের তথ্য জানা যায়।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে র্যাব ও ডিজিএফআই এর মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান চলাকালে 'মাদক চোরাচালানকারীদের' সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বলে উল্লেখ করা হয় এই বিজ্ঞপ্তিতে।
'এতে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা (যিনি নৌবাহিনীর কর্মকর্তাও ছিলেন) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন।'
এ ঘটনায় র্যাবের এক সদস্য আহত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গোলাগুলি চলাকালে এক রোহিঙ্গা নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জানিয়েছেন কোনাপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি দিল মোহাম্মদ।
নিহত সাজেদা বেগম (২০) তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়ায় শূণ্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বাসিন্দা। মাত্র সাত দিন আগেই তার বাচ্চা হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকালে কোনাপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি (দল নেতা) দিল মোহাম্মদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বলেন, গতকাল সোমবার সাড়ের ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে শূণ্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় শত রাউন্ড গুলির শব্দ আসে।
বর্তমান পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা জানিয়ে দিল মোহাম্মদ বলেন, 'শূণ্যরেখায় থাকা রোঙ্গিাদের সবসময় ভয় আতঙ্ক নিয়ে থাকতে হয়। কখন কী ঘটে ঠিক নাই। মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতনে পালিয়ে এসে এখানেও আমাদের নিরাপদ নাই।'
শূণ্যরেখার এই আশ্রয়শিবিরে ৬২১টি পরিবারে ৪ হাজার ২৮০ জনের মত রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে।