১৫ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন জেটি, জাহাজ ভিড়ল চাল নিয়ে
মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত চালবাহী জাহাজ এমসিএল-১৯ থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)।
এই জাহাজ ভেড়ানোর মধ্য দিয়ে দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর পর নতুন টার্মিনালের যাত্রা শুরু হলো দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বশেষ ২০০৭ সালে নির্মিত হয়েছিলো এনসিটি। এর ১৫ বছর পর ২০২২ সালে নির্মিত হলো পিসিটি। চট্টগ্রাম বন্দরের মুল জেটিতে জাহাজ আসতে কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদী পথ পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু পিসিটি কর্ণফুলীর মোহনা থেকে দুরত্ব ছয় কিলোমিটার।
২০০৫-০৬ অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হেন্ডেলিং হয়েছিলো ৮,২৭১১২ টিইইউস যা ২০২১-২২ অর্থ বছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৩২,৫৫৩৫৮ টিইইউস। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে প্রায় কনটেইনার হেন্ডেলিং ৩৯৩ গুন বাড়লেও বন্দরে যুক্ত হয়নি কোনো নতুন জেটি। তাই বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে দীর্ঘদিন ব্যবসায়িরা নতুন জেটি নির্মাণের দাবি করে আসছিলো।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক টিবিএসকে বলেন, কন্টেনার টার্মিনালটি পুরোদমে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারিভাবে আমদানিকৃত চালবাহী অপেক্ষাকৃত ছোট গিয়ারলেস (নিজস্ব ক্রেন নেই এমন) জাহাজগুলো পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল হ্যান্ডলিং করা হবে। নতুন এই টার্মিনালে ইকুইপমেন্ট স্থাপন এবং অপারেটর নিয়োগসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছু সময় লাগতে পারে। এর পরে টার্মিনাল থেকে পুরোদমে কন্টেইনার ভ্যাসেল হ্যান্ডলিং করা হবে।
এর আগে গত জুলাই মাসে টার্মিনালটি পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধনের দিন ঠিক হলেও পরে তা স্থগিত করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে ২,৬৫০ টন আতপ চাল নিয়ে আসা এমসিএল-১৯ নামের জাহাজটিকে পরীক্ষামূলকভাবে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে (পিসিটি) ভেড়ানো হয়।
জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট সেভেন সিজ শিপিং লাইন্স লিমিটেড এবং স্টিভিডোর হচ্ছে মেসার্স এ ডব্লিউ খান। গতকাল জাহাজটি বার্থিং নিলেও পণ্য খালাসের দায়িত্ব পাওয়া স্টিভিডোরিং প্রতিষ্ঠান আজ সকাল থেকে পণ্য খালাস শুরু করেছে। জাহাজ থেকে চাল খালাস করে তা নগরের হালিশহর ও দেওয়ানহাট সিএসডিতে পাঠানো হচ্ছে।